মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম প্রধান উপকরণ পোশাক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘুরেছে তাই অন্যান্য সকল উপকরণের মত পোশাকের ডিজাইনের মাঝেও এসেছে ভিন্নতা I যার ধারাবাহিকতায় এই যুগের চাহিদা অনুযায়ী নব্য সংস্করণ টি শার্ট I শিশু যুবক ও বৃদ্ধ সকলের পছন্দের তালিকায় এই পোশাকের চাহিদা সবার উপরে থাকে । যার কারনে টি শার্ট ডিজাইন এর বড় বড় মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে দেশি থেকে বিদেশি সকল ব্যান্ডের টিশার্ট ডিজাইনের জন্য টি শার্ট ডিজাইনার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে
টি শার্ট কি? টি-শার্ট উৎপত্তির ইতিহাস
উনবিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত জনপ্রিয় পোশাকের নাম টিউনিক, এই টিউনিক থেকেই মূলত টি-শার্টের উৎপত্তি I টি-শার্টের শেপ অনেকটা ইংরেজি টি এর মত তাই একটি টি শার্ট বলে ডাকা হয় । উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যায় যার প্রধান কারণ ছিল তৎকালীন বিভিন্ন রকস্টার ও শিল্পীর নিত্যদিনের পোশাক হিসেবে টি-শার্ট ব্যবহার করতো পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ও সব বয়সের মানুষের পছন্দের তালিকায় টি শার্ট যুক্ত হয়
টি শার্ট ডিজাইন কত প্রকার ?
টি-শার্ট ডিজাইন প্রধান তো দুই প্রকার যেমন
গ্রাফিক্যাল টি শার্ট ডিজাইন
হ্যান্ড পেইন্ট টি শার্ট ডিজাইন
গ্রাফিক্যাল টি শার্ট ডিজাইন
গ্রাফিক্স শব্দটা শুনলেই আমরা বুঝতে পারি এটাতে কম্পিউটার কম্পিউটার একটা ভাই রয়েছে এটি কম্পিউটার ডিজাইন সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি করা হয় এটি তৈরি করা তুলনামূলক সহজ ও সাশ্রয়ী গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার পিছনে কয়েক মাস সময় দিলেই সহজেই এই ইস্কিল রক্ত করা যায়
হ্যান্ড পেইন্ট টি শার্ট ডিজাইন
হ্যান্ড পেইন্ট শুনেই বুঝে ফেলেছেন এই ডিজাইন হাতে পেইন করা হয় যেহেতু হাতের কাজ অত্যান্ত সুক্ষভাবে করা হয় এবং কোন ভুল হলে সংশোধনের সুযোগ কম থাকে ও ভালো রঙ্গের দামও অনেক তাই এটি তৈরি করা তুলনামূলক কঠিন ও ব্যয়বহুল
হ্যান্ড পেইন্ট টি-শার্টের দাম তুলনামূলক বেশি ও কালার কোয়ালিটি খারাপ হয় গ্রাফিক্যাল টি-শার্টের চাহিদা দিনকে দিন বাজছে
টি শার্ট ডিজাইন এর প্রয়োজনীয়তা
পৃথিবীজুড়ে প্রতি বছর প্রায় দুই বিলিয়ন টি শার্ট বিক্রি হয় তাই সহজে বোঝা যায় এত বিশাল পরিমাণ টি শার্টের যোগান দিতে দরকার প্রচুর পরিমাণে স্কিল টি-শার্ট ডিজাইনার একজন টি শার্ট ডিজাইনারের মার্কেটপ্লেসে ও মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও বিভিন্ন অফিস পণ্যের ব্যান্ডিং রয়েছে কাজের সুযোগ এছাড়া আরও ব্যাপক পরিমাণের জন্য যেমন:
নিজস্ব ব্যান্ড তৈরি করতে পারে
বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড ডিজাইন করতে পারে
অনেক সময় কোন দল সংস্থা বা সংগঠনের জন্য তিশার ডিজাইন করতে পারে
বিশেষ বিশেষ দিবসে ও অনুষ্ঠানে কোন উপলক্ষ অনুযায়ী টি শার্ট ডিজাইন করতে পারে
নিজেকে অন্যদের থেকে ফ্যাশনে বল ও আলাদা দেখাতে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী নিজের জন্য তিশার ডিজাইন করতে পারে
টি শার্টের মধ্যে ভালো টাইফোগ্রাফি করে সাধারণ মানুষের কাছে সুন্দর বাচ্চা পৌঁছে দেওয়া যায়
টি শাট ডিজাইন এর আদ্যোপান্ত
টি শার্ট ডিজাইন করতে হলে বেশ কিছু জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রথমত টি শার্ট ডিজাইন আমি কেন করতে চাই আমি যদি কোন স্কিল ডেভেলপ করতে চাই বা আমার নিজের কোন টি শার্ট ব্যান্ড তৈরি করতে চাই তাহলে আমি এই স্কিল শেখার পেছনে সময় ব্যয় করতে পারি বর্তমান পৃথিবীর সুনামধন্য অনেক বড় বড় টি শার্ট ডিজাইনগুলো শুরু কিন্তু টি শার্ট ডিজাইন তৈরি করা ও সেল করার মাধ্যমে আবার আমি যদি একজন কিল ভালো মানের টিচার ডিজাইনার হয়ে থাকি আমি অতি সহজেই আমার করা ডিজাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করার মাধ্যমেও ভালো পরিমাণের অর্থ ইনকাম করতে পারি
প্রিন্ট এন্ড ডিমান্ড বিজনেস
প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য বর্তমান সময়ের উন্নতম সহজ উপায় হচ্ছে (POD) প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস আপনার তৈরি করা ডিজাইনগুলোকে বিভিন্ন POD বিজনেস সাইটে সংযুক্ত করবেন ও মার্কেটিং করবেন সেখান থেকে কেউ আপনার ডিজাইনের টি শার্ট অর্ডার করলে আপনি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন অপরদিকে টি-শার্ট প্রিন্ট এবং ডেলিভারি করার দায়িত্ব ঐ POD কোম্পানির
অতি পরিচিত কিছু প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস ওয়েবসাইট দেওয়া হলো
Amazon Merch On Demand
Teespring
Redbubble
Cafepress
Spreadshirt
Viralstyle
টি শার্ট ডিজাইন শেখার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় হল
১. টি শার্ট ডিজাইন সফটওয়্যার
টি শার্ট ডিজাইন করার জন্য সর্বপ্রথম দরকার টি শার্ট ডিজাইন টুলস ও সফটওয়্যার সম্পর্কে ব্যাপক ও বিস্তৃত ধারণা একজন দক্ষ ডিজাইনার তার ব্যবহৃত টুলস এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তার কম্পিটেটর দের থেকে এগিয়ে থাকে টি শার্ট ডিজাইন করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে এভেলেবেল অনেক সহজলভ্য টুলস ও সফটওয়্যার রয়েছে তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার হল Adobe Illustrator, Adobe Photoshop এছাড়া আরো রয়েছে
Gimp
Peintful
Grafix pro.studio
Placeit
Inkscape
Customily
Desighnhill
২. গ্রাফিক ডিজাইনের বেসিক স্ক্রিল শেখা
গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক স্কেল গুলো খুব ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে যদি বেসিক স্কিল গুলো ভালোভাবে রক্ত করা যায় তাহলে এই স্কিল গুলো ব্যবহার করে লুক্রেটিভ ডিজাইন তৈরি করা যাবে
৩ . কালার গ্রেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা
একটি শার্টের রং যদি ফুটে না ওঠে তাহলে যত ভালোই ডিজাইন হোক না কেন টি শার্টটি গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয় না
তাই ভালো মানের টিশার্ট ডিজাইন করতে হলে কালার গ্রেডিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে কোন রঙের সাথে কোন রঙ মেলালে সুন্দর ডিজাইন করা হবে কোন রঙের কন্ট্রাস্ট রেশিও কেমন তা জানতে হবে শ্যাডো কে সুন্দরভাবে ফুটে তুলতে হবে সর্বোপরি রঙ্গের সঠিক ব্যবহার ডিজাইনকে পূর্ণতা দান করে
৪. টাইপোগ্রাফি
টি-শার্টের মাঝে থাকা ওয়ার্ড বা বাক্যের যথাযথ ব্যবহার ও কালার কম্বিনেশনের মাধ্যমে টি-শার্ট ফুটে ওঠে যা টি-শার্টের গ্রাহকের রুচিরও বই প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে তাই একজন টি শার্ট ডিজাইনারের টাইপোগ্রাফিক সম্পর্কে খুবই স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে
এবং গ্রাহকের রুচি অনুযায়ী শব্দ বা বাক্য সিলেক্ট করে টাইপোগ্রাফিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে
টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য অবশ্য করনীয় পদক্ষেপ
ধরা যাক, একই কাজ একই সময়ে দুজন লোককে দেওয়া হল। তাদের একজন খুব সুন্দর ভাবে কাজটি সমাধান করেছে, অপরজন সুন্দরভাবে কাজটি সমাধান করতে পারেনি, কাজের মাঝে সূক্ষ্ম কিছু ভুল করেছে। প্রথমজন দ্রুত কাজটি সমাধান করতে পারলেও দ্বিতীয় জনের কাজটি করতে যেমন সময় বেশি লেগেছে তেমনি ভুল হয়েছে প্রচুর। কি মনে হয় এই ভুল হওয়ার পিছনের কারণটি কি?
কারণটি হল, সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা ও সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার অভাব।
তেমনি টি-শার্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রেও আমাদের সুনিপুণ পরিকল্পনা করতে হবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজাইন শেখাতে হবে। সুনিপুণভাবে একটি টি শার্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে ও যে সকল বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে তা হলঃ
১। কি ডিজাইন করবেন তা মাথায় সেট করে ফেলা
সর্বপ্রথম আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি কারনে বা কোন উপলক্ষে টি-শার্ট ডিজাইন করছেন এবং কাদের জন্য করছেন। যদি কোন বিশেষ দিবস বা কোন উপলক্ষে টি শার্ট ডিজাইন করে থাকেন তাহলে টি-শার্ট ডিজাইন এর মাঝে সেই বিশেষ দিনের সিম্বল বা নিদর্শনকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
২। অনলাইন ও অফলাইন থেকে আইডিয়া নেওয়া
আপনি যে ধরনের টি শার্ট ডিজাইন করবেন বলে ভাবছেন, সেই ডিজাইন বিষয়ে আগে অনলাইন ও অফলাইনে ঘাটাঘাটি করে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বাজারে সেই বিষয়ে কেমন ডিজাইন চলছে, গ্রাহকের চাহিদা কেমন ইত্যাদি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার ডিজাইন করা বিষয়টি যদি কোন ট্রেন্ডি টপিক হয়। বর্তমান টি শার্ট ডিজাইনের মার্কেটে ট্রেন্ডি ডিজাইনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
৩। ডিজাইনের মূল নকশা আগে তৈরি করা
ধরে নিচ্ছি আপনি কি বিষয়ে ডিজাইন করবেন তা সিলেক্ট করেছেন এখন আপনাকে আপনার ডিজাইনের মূল নকশা তৈরি করে নিতে হবে। আপনার কম্পিটেটররা কি ধরনের ডিজাইন করে মার্কেটে কাজ পাচ্ছে তা লক্ষ্য করে ডিজাইনের খসড়া তৈরি করুন। মনে করুন আপনি ঈদ উপলক্ষে টি-শার্ট ডিজাইন করছেন তাহলে টি-শার্টের মধ্যে ঈদের আনন্দের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে হবে সেখানে যেন শোকের বহিঃপ্রকাশ না ঘটে।
৪। ডিজাইনের জন্য সঠিক সাইজ নির্ধারণ করা
একটি টি-শার্টের সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে টি শার্ট ডিজাইন সাইজ এর উপর। একটি টি শার্ট ডিজাইন, সাইজের জন্য যেমন সুন্দর দেখা যেতে পারে আবার সাইজের জন্য অসুন্দরও দেখা যেতে পারে। সাধারণত টি-শার্টে বড় ডিজাইনের তুলনায় ছোট ডিজাইন সহজে ফুটে উঠে ও সুন্দর দেখায়।
৫। ডিজাইনের জন্য সঠিক স্থান নির্ধারণ
ডিজাইনকে টি-শার্টের কোন স্থানে বসানো হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে টি-শার্ট ডিজাইনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। সাধারণত টি-শার্ট ডিজাইন কে প্রিন্ট করার জন্য কলার থেকে ৪ ইঞ্চি নিচের স্থানকে আদর্শ স্থান ধরা হয়।
৬। সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট ও টাইপোগ্রাফি ব্যবহার করা
যেকোনো ডিজাইনের দিকে তাকালে আমাদের সর্বপ্রথম ডিজাইনে থাকা লেখার দিকে চোখ পড়ে। সর্বপ্রথম এই ডিজাইনের লেখাকে সুন্দর করার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট সিলেক্ট করতে হবে। এরপর লেখাগুলোকে ছোট, বড় বিভিন্ন আকার ও শেপে ডিজাইনের মধ্যে বসাতে হবে। এই লেখাকে সুন্দরভাবে স্থাপন করাকে টাইপোগ্রাফি বলে। আমরা যদি সঠিকভাবে ফন্ট সিলেক্ট করতে পারি ও সুন্দর টাইপোগ্রাফি করতে পারি তাহলে ডিজাইনটি আরো বেশি মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় হবে। টাইপোগ্রাফি করার সময় কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে ডিজাইন আরো বেশি সুন্দর হবেঃ
• সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোকে বোল্ড করতে হবে। এমন ভাবে বসাতে হবে যাতে সবার চোখে পড়ে।
• অক্ষর গুলো যেন অতিরিক্ত বড় না হয়ে যায়।
• ডিজাইনকে আরো বেশি সুন্দর ও প্রাণবন্ত করার জন্য শ্যাডো ব্যবহার করতে পারি।
• ডিজাইনের মধ্যে কোন ছবি ব্যবহার করলে, ছবির রং এর সাথে মিলিয়ে ট্রাইপোগ্রাফির রং মেলাতে হবে।
• টি-শার্টে ব্যবহারকৃত ইমেজকে অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির হতে হবে তা নাহলে, টি-শার্ট প্রিন্ট করার পর প্রিন্টটি অস্বচ্ছ দেখা যাবে।
৭। ডিজাইনের রং এর সঙ্গে টি-শার্টের রং এর সামঞ্জস্যতা
টি-শার্টে করা আমার ডিজাইনের সাথে, টি শার্টের রং মানাচ্ছে কিনা আমাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই ডিজাইনের রং এর শেড এর সাথে টি- শার্টের রং এর শেড কে মিলিয়ে দেখতে হবে, বিভিন্ন রকমের রং এপ্লাই করে দেখতে পারি কোন রং টি বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শোভা বর্ধক, সেটি ব্যবহার করতে পারি।
৮। ডিজাইনে আকর্ষণীয় বর্ডার ও শেপ ব্যবহার করা
ডিজাইনের সাথে বিভিন্ন সেপ ও বর্ডার ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের ডিজাইন কে এর কম্পিটেটরদের থেকে ঐটায়ে রাখবে ও ডিজাইনের মাঝে আরো বেশি নান্দনিকতা এবং নতুনত্ব ফুটিয়ে তুলবে।
৯। ডিজাইনের মধ্যে ভুল না করা
অনেক সময় দেখা যায় ডিজাইনের মধ্যে কুরুচিকর কথাবার্তা লেখা হয় যা ব্যক্তিগত মূল্যবোধ সম্পর্কে অন্যকে খারাপ ধারণা দেয়, অনেকে আবার টাইটোগ্রাফিতে বানান ভুল করেন যা পুরো ডিজাইনটি কেই নষ্ট করে দেয়। এছাড়া ডিজাইনটিকে তুলনামূলক সাদামাটা ভাবে তৈরি করা ডিজাইনের মধ্যে অতিরিক্ত বাক্য বা রং ব্যবহার না করা।
টি-শার্ট ডিজাইন শিখব কিভাবে?
যে কোন স্কিল শেখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ধৈর্যের, অধিকাংশ লোকেরা স্কিল শিখতে গিয়ে ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে এবং শেখার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কার্যক্রম অনলাইন ও অফলাইন উভয় স্থানে চলছে। তাই শেখার জন্য ভালো দেখে কোন আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন, তবে ইউটিউবে অনেক ফ্রি রিসোর্চ রয়েছে যা দিয়ে আমরা ফ্রিতেই টি শার্ট ডিজাইন শিখতে পারি।
একজন টি শার্ট ডিজাইনারের ইনকাম
কথায় আছে “Money Is Motivation”আমাদের প্রায় সকলেরই যে কোন স্কিল শেখার পেছনের প্রধান লক্ষ্য থাকে টাকা ইনকাম করা। তাই আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এই যে আমি একটা স্কিল শিখার পেছনে এতটা সময় দিব এটা আমাকে কতটুকু বেনিফিটেড করবে। বর্তমানে অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর মাঝে ফ্রিল্যান্সার.কম ফাইবার, আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদির মত বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে টি-শার্ট ডিজাইন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তবে আজকে তাদের এই লক্ষ টাকা ইনকাম করার পেছনে তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, শ্রম, মেধা, ধৈর্য এসবের ভূমিকা রয়েছে। এক দুই মাস শিখেই তাদের কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষেত্রে শ্রম দিয়েছে যার সুফল তারা আজকে পাচ্ছে।
তাই আজকে থেকে যদি আমি শেখা শুরু করি এবং শেখা শেষ হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ও মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ খুঁজি ও কাজ পেয়ে যাই তাহলে আশা করতে পারি ভালো এমাউন্টের অর্থ মাস শেষে আমার পকেটে ঢুকবে। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন ফার্ম ও এজেন্সি রয়েছে যেখানে আমি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারি। বর্তমানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা এবং একজন এক্সপার্ট প্রায় ৪০+ হাজার টাকা ইনকাম করে।
শেষ কথা
বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমাণ বেকার রয়েছে তাদের সবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত কঠিন। তাই যেকোনো স্কিল শিখলে তা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য বাড়তি সুযোগ তৈরি করে। স্কিল হিসেবে টি শার্ট ডিজাইনিং বেশ চাহিদা সম্পন্ন। টি শার্ট ডিজাইনিং করে আমরা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং বা কর্পোরেট সেক্টরে নিজেদের ক্যারিয়ারকে বিল্ড আপ করতে পারি।